পাথরঘাটায় কেঁচো কম্পোস্ট সারের ব্যবহার বাড়ছে
০০ পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
সমুদ্র উপকূলের জমিতে লবণের মাত্রা বেশি এবং জৈব পদার্থের পরিমাণ কম থাকায় কৃষক বেশি ফলনের আশায় অধিক পরিমাণ রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে। এভাবে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে থাকলে এ অঞ্চলের সকল কৃষি জমি অচিরেই উর্বরতা হারাবে। এ অবস্থায় বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান বিজ্ঞান ও গণশিক্ষা কেন্দ (সিএমইএস) পাথরঘাটা অঞ্চলের সকল কৃষক ও সচেতন ব্যক্তিবর্গের মাঝে কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণের কাজ করে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও গণশিক্ষা কেন্দ (সিএমইএস) বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের একত্রিত করে কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি, ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছে। কেঁচো কম্পোষ্ট সার প্রদর্শন ও উৎপাদন করে গত বছর পাথরঘাটা উপজেলার বৃক্ষ মেলায় ৩য় স্থান এবং বরগুনা জেলায় ফল-বৃক্ষ ও কৃষি প্রযুক্তি মেলায় প্রথম স্থান অর্জন করেছে। সিএমইএস-এর নিজস্ব স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি ও এর ব্যবহার ইত্যাদির উপর বাস্তব শিক্ষা দেওয়া হয় এবং যাতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ছাত্র- ছাত্রীগণ নিজে এই সার উৎপাদন করে ব্যবসা করতে পারে তার জন্য সকল প্রকার আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। সিএমইএস পাথরঘাটা উপজেলার নিজ লাঠিমারা অমিরাবাদ ইউনিট অগর্ানাইজার মোহাম্মদ নাজমুল হক বারী জানান, কিশোর-কিশোরীদের মাধ্যমে এর সুফল সম্পর্কে প্রচার করে রাসয়নিক সারের ভয়াবহতা ও কুফলের হাত থেকে উপজেলার ২২ হাজার হেক্টর জমিকে রক্ষা করার চেষ্টা করা হবে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম মিয়া বলেন, সকল প্রকার জৈব সার হতে কেঁচো কম্পোস্ট সার অনেক উন্নত এবং গাছের সকল খাদ্য উপাদান এ সারের মধ্যে বিদ্যমান। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও জমির মৌলিক গুণাবলী বজায় রাখতে তিনিও কৃষকদের এই কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
Source: Daily Ittefaq, 14th August-2010
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হাকিম মিয়া বলেন, সকল প্রকার জৈব সার হতে কেঁচো কম্পোস্ট সার অনেক উন্নত এবং গাছের সকল খাদ্য উপাদান এ সারের মধ্যে বিদ্যমান। জমির উর্বরতা বৃদ্ধি ও জমির মৌলিক গুণাবলী বজায় রাখতে তিনিও কৃষকদের এই কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
Source: Daily Ittefaq, 14th August-2010
No comments:
Post a Comment