কেঁচো থেকে উৎপাদিত কম্পোস্ট সার বিক্রি করে বছরে আয় হবে প্রায় ২ কোটি টাকা।
Source: www.al-ihsan.net
মেহেরপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ২৯-০৮-২০১০
উর্বর মাটিতে পাচঁ ভাগ জৈব পদার্থ থাকতে হয়। মাটির পানি ধারণক্ষমতা ও বায়ু চলাচল বাড়াতে পাঁচ ভাগ জৈব পদার্থ থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছে এক দশমিক আট থেকে দুই ভাগ। জৈব পদার্থের পরিমান বাড়াতে কম্পোষ্ট সার, পচা আবর্জনা, সবুজ সারের যেমন ভূমিকা, কেঁচো সারের ভূমিকাও তেমনি অসামান্য।
কেঁচো সারঃ কেঁচো খাবার খেয়ে মল হিসাবে যা ত্যাগ করে তাই কেঁচোসার। তরিতরকারির ফেলে দেওয়া অংশ,ফলমূলের খোসা,উদ্ভিদের লতাপাতা,পশুপাখির নাড়িভুঁড়ি হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, ছোট ছোট করে কাটা খড়কুটো খেয়ে কেঁচো জমির জন্য সার তৈরি করে। এ সার সব ধরণের ফসল ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়।
কী আছে কেঁচোসারেঃ ‘ভার্মি কম্পোষ্ট’ বা কেঁচোসারে মাটির পানি ধারণ করার ক্ষমতা ও মাটি নরম করার ক্ষমতা তো আছেই,এ ছাড়া আছে আটাশি দশমিক ৩২ ভাগ জৈব পদার্থ, এক দশমিক ৫৭ ভাগ নাইট্রোজেন, এক দশমিক ২৬ ভাগ বোরন-যেগুলো অন্যান্য জৈব সারে এত বেশি পরিমাণে নেই।
কেঁচোসার ব্যবহার করলে চাষের খরচ কম হয়। প্রাকৃতিক লাঙ্গল যে কেঁচো তারও সংখ্যা বাড়ে মাটিতে। উৎপাদিত ফসলের বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ হয় আকর্ষণীয়। ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
সহজ উপপায়ে কেঁচো সার উৎপাদনঃ কেঁচোসার উৎপাদন করতে গভীর মাটিতে যে ছাই রঙের কেঁচো পাওয়া যায় সেগুলো না নিয়ে বরং মাটির ওপর স্তরে থাকা লাল রঙের কেঁচো খুবই ভালো। এছাড়া সার উৎপাদনের আলাদা কেচোঁও পাওয়া যায়।
কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে প্রথমে কোমর সমান গর্ত করে তাতে দুটো রিং স্লাব বসায়ে দিতে হয়। গর্তের তলায় শুকানো ঝরা মাটি দিয়ে কিছু অংশ ভরে দিতে হয় এরপর। তার ওপর বিছাতে হয় কুচি কুচি করে কাটা খড়কুটো, তার উপর আবার ঝুরা মাটি। ঝুরা মাটির উপর পচাঁ আবর্জনার স্তর। আর্বজনার উপর ঝুরা মাটির স্তর দিতে হবে আরো একবার। এবার মুরগির বিষ্ঠার একটি স্তর করে নিতে হয়। বিষ্ঠার উপর আবার ঝুরা মাটি দিতে হয়। শেষের স্তর এ গোবর। এই গোবরে দিতে হয় কেঁচো ছেড়ে। ঝড়-বাতাস আর বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ওপরে দিতে হবে ছাউনি। এভাবে তিন মাস রেখে দিলেই পাওয়া যাবে কেচোঁ সার।
অন্যভাবেও কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে ছায়াযুক্ত স্থানে পলিথিন ব্যাগে আবর্জনা রেখে দিতে হয়, যাতে আবর্জনা পচঁতে পারে। সাত-আট দিন পর পলিথিন বিছিযে দুটি রিং স্লাব পরপর সাজিয়ে তার ভেতর পচাঁ এই আবর্জনা দ্বিগুণ পরিমাণ গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিতে হয়। যাতে পঁচা আবর্জনার রস মাটিতে চুয়ে যেতে না পারে। এরপর গোবর মেশানো আবর্জনায়কেঁচো ছেড়ে দিতে হয়। ঝড়-বাতাস, বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে রিং স্লাবের ওপর দিতে হবে ছাউনি।
কেঁচোসার তৈরি করতে দুটি রিং স্লাব ১০০ থেকে ২০০টি কেঁচোই যথেষ্ট। আর সময় লাগবে তিন মাস।। এরই মধ্যে পাওয়া যাবে ফসলের জন্য চমৎকার সার। সচেতন থাকতে হবে রিং স্লাবে যেন কীটনাশক কিংবা ছত্রাকনাশকের মতো কোনো বিষ না পড়ে।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান শাহীন
মাটির লাল কেঁচো খড়কুটো, ফসলের অবশিষ্টাংশ, রান্নাঘরের উচ্ছিষ্ট এবং মাটির সমন্বয়ে যে জৈব সার তৈরি হয় তাকে বলা হয় কেঁচো কম্পোস্ট সার এবং এ কৌশলকে বলা হয় কম্পোস্ট সার তৈরির কৌশল। এটি সহজ একটি পদ্ধতি যেখানে আবর্জনা দিয়ে ব্যবহার উপযোগী উৎকৃষ্ট জৈব সার তৈরি করা যায়।
সার তৈরির কৌশল : কেঁচো কম্পোস্ট সার জমির এক কোণায়, গাছের নিচে এমনকি ঘরের ভেতর বড় বাক্সে তৈরি করা যায়। খোলা জায়গায় তৈরি করতে হবে। মাটি ও জৈব আবর্জনার স্তূপের সাথে কেঁচো মেশাতে হবে। এরপর স্তূপ ঢেকে রাখতে হবে। কেঁচো দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে এবং কয়েক মাসেই তা কেঁচো কম্পোস্ট সারে রূপ নেয়। ঘরের ভেতর বাক্সে তৈরি করতে হলে বাক্সের ভেতর পুরানো খবরের কাগজ বিছিয়ে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর জৈব মাটি বিছিয়ে দিয়ে কেঁচো ছেড়ে দিতে হবে। মাটি এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে কেঁচো মারা যেতে পারে এ জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কেঁচো কম্পোস্ট সারের উপকারিতা : উৎপাদন ও ফসলের গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। তুলনামূলকভাবে উৎকৃষ্ট ও বড় আকারের ফল বা সবজি পাওয়া যায়। মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে কেঁচো সার ব্যবহারে সেচের পানি কম লাগে। ক্ষারীয় লবণাক্ত মাটিতেও চাষাবাদ সম্ভব। রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। জমিতে আগাছার ঝামেলা কম হয়। ফসলের বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে। অধিক কুশি, অধিক ছড়া ও দানা গঠন হয়। মাটির বুনট উন্নত হয়। রাসায়নিক সারের চাইতে খরচ অনেক কম হয়। পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে।
ফসলে কেঁচো সারের ব্যবহার : বৃষ্টিনির্ভর ফসল তিল, মুগ ছোলা, মাসকলাই, জোয়ার, বাজরা, সরিষা এসব কম পুষ্টি চাহিদা সম্পন্ন ফসলে রাসায়নিক সার ছাড়াই একর প্রতি মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। সূর্যমুখী, বার্লি, ভুট্টা ও গম এসব ফসলে কৃষকরা সাধারণত হালকা সেচ, রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একরপ্রতি মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গাজার, আলু, মিস্টি আলু, ঢেঁড়শ, বেগুন, শসা ইত্যাদি ফসলে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে একরপ্রতি মাত্র ১০০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে কৃষকরা অধিক ফলন পাচ্ছেন। ফুলকপি, বাধাকপি, আলু, মরিচ, ধান, টমেটো, রসুন, আদা, হলুদ এসবের ক্ষেত্রে অনুমোদিত রাসায়নিক সারের অর্ধেক মাত্রার সাথে একরপ্রতি মাত্র ১টন কেঁচো কম্পোস্ট সার প্রয়োগের সুপারিশ রয়েছে। বিশেষত ফল বাগানে গাছপ্রতি ১ থেকে ১৫ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফল পাওয়া যায়।
আমাদের দেশের কৃষক ভাইরা কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে কম খরচে অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারেন। এতে জমি রাসায়নিক সারের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং উর্বরতা বজায় থাকবে।
লেখক: এম এ কিসমত খান, পাউবো, পাবনা
|
|
# বাজার সম্ভাবনা # মূলধন # প্রশিক্ষণ # প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান # কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির নিয়ম # আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারের খরচও বেশী। কেঁচো কম্পোস্টের উপকারিতা অন্যান্য কম্পোস্টের চেয়ে বেশি। কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি খরচ কম এবং রাসায়নিক সারের অপকারিতা মাথায় রেখেই দিন দিন জৈব সারের ব্যবহার বাড়ছে। আর তাই কেঁচো কম্পোস্টের চাহিদা ও বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেঁচো কম্পোস্ট বিক্রি করতে উপজেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ী, কৃষক, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তৈরি করা কম্পোস্ট সার বিক্রির জন্য প্রচার অভিযান চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে-
আনুমানিক ৬০০-৭০০ টাকার যন্ত্রপাতি এবং ২৪০০-২৫০০ টাকার কাঁচামাল কিনে বেশ বড় আকারেরর কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি ও বিক্রি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বড় আকারে কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবসা শুরু করতে যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তাহলে স্থানীয় ঋণদানকারী ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক)বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা)থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এর জন্য আলাদা ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে ধারণা নিয়েই এ কাজ শুরু করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
উপকরণ | পরিমাণ | আনুমানিক মূল্য (টাকা) | প্রাপ্তিস্থান |
ঘর তৈরি/শেড তৈরি | ১ টি | ৩০০-৩১০ | নিজেই তৈরি করা যায় |
পানি নিরোধক কাগজ | ৪০ ফিট | ২০০-২১০ | হার্ডওয়ার দোকান |
মাটির বড় পাত্র | ৫টি | ১৫০-১৬০ | কুমার বাড়ী |
মোট=৬৫০-৬৮০ টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
উপকরণ | পরিমাণ | আনুমানিক মূল্য (টাকা) | প্রাপ্তিস্থান |
কেঁচো | ২০০০ টি | ২০০০-২০৫০ | কেঁচো বিক্রির পাইকারী দোকান |
গোবর | ১২০০ কেজি | ৩০০-৩২০ | বাড়ী থেকে কেনা যেতে পারে |
রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট | ৫০ কেজি | - | বাড়ী থেকে সংগ্রহ করা যায় |
পাতলা চট | ৪০ ফুট | ১৩০-১৩৫ টাকা | হার্ডওয়ারের দোকান |
মোট=২৪৩০-২৫০৫টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
ছবি: কেঁচো কম্পোস্ট উল্টে দেয়া হচ্ছে ছবি তোলার স্থান:নেত্রকোনা। | ছবি: কেঁচো কম্পোস্ট পরীক্ষা করা, ছবি তোলার স্থান:নেত্রকোনা। |
গাছের ছায়ায় মাটিতে গর্ত করে সার তৈরি করতে হয়। সেজন্য ২ মিটার লম্বা, ১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত করতে হবে। গর্তের আকার এমন হবে যেন দুই থেকে পাঁচ হাজার কেঁচো থাকতে পারে। এ পদ্ধতিতে মাসে ১০০ কেজি করে সার তৈরি করা সম্ভব হবে। গর্তের উপর ছনের চালা দিতে হবে। তবে মাটির গর্তের চেয়ে মাটির বড় পাত্রে (গামলা) কম্পোস্ট তৈরি করলে কেঁচোগুলো হারিয়ে বা নষ্ট হয় না। তাই বর্তমানে গামলার ব্যবহারই বেশি।
তৈরি ঘরের মধ্যে বা গর্তের তলায় ইটের টুকরো বা বালি বিছিয়ে নিতে হবে।
চালুনীর সময় সাবধান থাকতে হবে যেন শিশু কেঁচো মারা না যায়। শিশু কেঁচোগুলো পুরানো গোবরে রাখতে হবে। পিপঁড়া ও পোকার কামড় থেকে কেঁচোগুলোকে সাবধানে রাখতে হবে।
কাঁচামাল বাবদ খরচ আনুমানিক | ২৪৩০-২৫০৫ টাকা |
যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ | ৫-৬ টাকা |
মোট= ২৪৩৫-২৫১১ টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
এ পরিমাণ কাঁচামাল দিয়ে মাসে ২০০০ কোঁচোর মাধ্যমে ১০০ কেজি সার উৎপাদন করা সম্ভব।
১ কেজি সার বিক্রি হয়=৭-৮ টাকা ১০০ কেজি সার বিক্রি হয়=৭০০-৮০০ টাকা নতুন জমানো কেঁচো বিক্রি=২০০০-২২০০ টাকা |
মাসে মোট আয় =(সার+কেঁচো)=২৭০০-৩০০০ |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
সার ও কেঁচো বিক্রিতে আয় | ২৭০০-৩০০০ টাকা |
সার তৈরিতে খরচ | ২৪৩৫-২৫১১ টাকা |
লাভ=২৬৫-৪৮৯ টাকা অর্থাৎ ২৬৫-৪৮৯ টাকা লাভ করা সম্ভব। তবে সময় ও স্থানভেদে এর কম বা বেশি লাভ হতে পারে। |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
যে কোন ব্যক্তি বাড়ীতে বসে নিজেই কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিক্রি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রশ্ন ১ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরিতে কি কি কাঁচামাল লাগে ?
উত্তর : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করতে কেঁচো ছাড়াও গোবর, লতা-পাতা, ধানের খড়, শাক-সবজির অবশিষ্টাংশ ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন ২ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করতে কি পরিমাণ মূলধন দরকার হতে পারে?
উত্তর : আনুমানিক ৩০০০ টাকার মূলধন নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ৩ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরিতে কি পরিমাণ লাভ হতে পারে।
উত্তর : প্রতি মাসে আনুমানিক ৩০০-৪০০ টাকা লাভ করা যেতে পারে।
Source: www.infokosh.bangladesh.gov.bd
Posted 2009-04-17 17:50 by ashis
Kalyani Municipal authorities have helped Self Help groups(SHGs) produce organic compost through vermiculture. The method is very simple and it takes only two weeks to produce compost from bio-degradable solid waste.A Muncipality official, speaking to MYSMENews, said a large pit was first dug in a field.bio degradable solid waste was poured into it. Plastic, iron and other materials were removed. Then centipede worms were released into the mixture.The worms multiplied quickly and almost covered the pit. The waste material, after a few days, crumbled into small grainy pieces. It had turned into compost The transition took two weeks At present, local SHGs sell such organically produced compost commercially. The All India Council for Mass Education and Development (AICMED) also offers expertise for vermiculture projects and maintains two experimental pits.
Posted 2009-04-09 11:53 by niladri
বাড়ির প্রতিদিন তৈরি হওয়া জঞ্জালও যে কোনভাবে কাজে আসতে পারে এটা বোধ হয় কল্যাণীর নাগরিকরা হয়তো একসময় ভাবতেই পারেননি। বাড়ির বর্জ্য জঞ্জাল যে এভাবে রোজগারের হাতিয়ার হতে পারে সেটা ভাবনার বাইরেই ছিল – ভূমিজ, সঞ্চিতা, উন্নতি, চেতনা, সংহতি, সার্বিক, বন্ধনের মত ৩৫ টি স্বয়ম্ভর সংস্থাগুলির সদস্যাদের। বাড়িতে প্রতিদিনই গাছের পাতা, গবাদি পশুর মল ও নানা বর্জ্য ইত্যাদি বহু রকমের জৈব উপাদান তৈরি হয়। সাধারণত সেসব আমরা ফেলে দিই, পরিবেশ দূষণও ঘটাই। কিন্তু এগুলি যদি নিয়ম মেনে সংগ্রহ করে জৈব সারে পরিণত করা যায় তবে তো কথাই নেই। কল্যাণী পৌরসভার কম্যুনিটি ডেভেলাপমেন্ট সার্ভিস -২ এর অন্তর্গত সাতটি স্বয়ম্ভর গোষ্ঠী মিলে জৈব সার উৎপাদনে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। প্রকল্প অধিকর্তা মৌসুমি পাল জানান যে পৌরসভার ১৫ টি ওয়ার্ডেরই মহিলারা এ প্রকল্পে সরাসরি যুক্ত। প্রায় ৩৫০ জন মহিলা এই প্রকল্পে আছেন। প্রকল্পের শুরুতে মহিলাদের একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ ও তার পরে পেশায় প্রবেশের জন্য প্রত্যেক মহিলাদের মাথাপিছু ৬০০ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। প্রশিক্ষণ শেষে তাদের ভার্মি কম্পোস্ট প্ল্যান্টের জন্য একটি করে সিমেন্টের পাত্র ও ৪০০ টি করে কেঁচো (ভার্মি) দেওয়া হয়। "এই কেঁচোগুলি চীন থেকে আমদানি করা হয়েছিল, বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা, যারা এ প্রকল্পে কারিগরী পরামর্শ দিয়েছিলেন তারাই জানান যে জৈব সার তৈরিতে এর ভূমিকা অসাধারণ, আর এই কেঁচোগুলি আমাদের দেশের আবহাওয়ার সাথে সহজেই মানিয়ে নিতে পারে", মৌসুমি জানান। ন্যাশানাল হর্টিকালচার মিশন, বিধান চন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও আরও অনেক সরকারি বেসরকারি সংস্থা এখানকার সারের গ্রাহক। এখানকার উৎপাদিত সারের ব্র্যান্ড নেম 'মাটি সুরক্ষা'। মৌসুমি পাল আরও জানান "আমরা স্থানীয় স্তরেও খুচরো বিক্রী করি, ২ কিলো, ৫ কিলো, ২৫ কিলো এবং ৫০ কিলোগ্রামের প্যাকেটে 'মাটি সুরক্ষা' র যথেষ্ট কদর রয়েছে।" সার উৎপাদন করে বাড়ি থেকেই মহিলারা নিয়ে আসেন, প্রধান প্ল্যান্টে প্যাকেজিং হয়। এভাবে মহিলারা মাসে ৯০০ টাকা থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত রোজগার করছেন। মূলত বস্তি অঞ্চলের মহিলারা এভাবেই স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন কল্যাণীতে।
Source: www.mysmenews.com
Bio-gas use is rising in rural areas as villagers have started seeking substitutes for increasingly pricey kerosene, firewood, and straw.
Simple bio-gas plants in the homestead are not only supplying fuel for cooking but also lighting up homes that have no access to the national grid.
A typical bio-gas plant can be used for more than 30 years and requires only 200 square feet area, using cow-dung and chicken excrement to produce energy.
Some 12,000 plants have already been set up in different areas around the country.
A resident of Milpur in the Sadar upazila in Thakurgaon, Farida Nazneen, has been cooking with bio-gas for one year.
She told the news agency, ‘The fire from the gas doesn’t create smoke, it doesn’t leave black stain on the cooking utensils or in the kitchen, and on top of all this, and it produces electricity.’
‘Earlier, when I used to cook with firewood, there was a lot of smoke and it hurt my eyes. With biogas it’s much easier,’ she added. Farida set up the plant at her house with the help of a local non-government organisation.
At present, 29 non-government organisations are working with the government’s Infrastructure Development Company Limited to set up and popularise bio-gas across Bangladesh.
IDCL’s executive director and chief executive officer Islam Sharif said, ‘Bio-gas plants are being set up in many areas of the country under National Home-economics Bio-gas and compost-manure project.’
International NGO, SNV-Netherlands Development Organisation and the German government’s development agency KFW are jointly financing this project, he informed.
Bio-gas is produced from composting organic wastes and excrement within, said Islam Sharif.
According to him, only 3 per cent of the total population, mostly of which were city dwellers, use natural gas for cooking delivered by gas pipelines. On the other hand, 70 per cent of the people who live in villages were denied this privilege, he added.
Across rural Bangladesh, people use firewood, dry leaves and cow-dung as fuels. Most of these fuels damage the environment, or cause deforestation, or even loss of fertility in nearby land.
‘Cow-dung and excrement were considered a nuisance and a waste, but now with the development of technology, the waste is being transformed into an asset,’ Sharif said.
The bio-gas, made from cow-dung and chicken excrement can be used not only as fuel, but the compost-manure from bio-gas plants can be used as environment-friendly organic fertiliser.
‘Considering all these advantages, we are working to make bio-gas more popular,’ the IDCL chief said.
The IDCL recently observed bio-gas week from May 28 to June 5 aimed at raising awareness about this clean source of fuel, through organising rallies and folk music concerts to motivate people to adopt the technology.
On May 28, Majpara union of Pabna district was declared a ‘Bio-gas-dependent Union.’
In 2009, Tikuria village of Mymensingh had been declared a ‘Biogas Union’ to recognise how fast the technology had been adopted by the people of the village.
‘Within 2011, an upazila will be declared as a ‘Biogas Upazila’ and by 2012, a district will be declared ‘Biogas district,’ said Islam Sharif.
IDCL’s secretary SM Farmanul Islam told the news agency that a six-year long project from April 2006 to December 2012 is under implementation.
The project plans to build 37, 269 plants by 2012. More than 12,000 plants had already been built and an additional 10,000 plants are planned within this year, he said.
A homestead bio-gas plant costs between Tk 25,000 and Tk 30,000. IDCL provides Tk 9,000 as a start-up subsidy. With progress, IDCL lends about Tk 14,000 to 16,000. The plant owner is responsible to put up the remainder of the required money.
Bio-gas residue is a high category compost-manure. Cultivable lands and fish-growing ponds can benefit using this manure.
DISA, an associate organisation of IDCL is working in village levels to set up the plants.
Source: www.newagebd.com, 15th July, 2010
M. Fokhrul Islam
More than 70 per cent of the population in Bangladesh is engaged in agriculture. Therefore, any technology that can influence agriculture or gets influenced by the agricultural practices becomes a subject of concern not only to the biogas user but also to the nation as a whole. Bio-gas technology is becoming popular in rural Bangladesh in view of escalating costs of fuels as well as soaring prices of chemical fertilizers which our farmers find difficult to buy for their sustainable crop production.
The first biogas plant was constructed in 1972 at the premises of Bangladesh Agricultural University (BAU), Mymensingh. Thereafter through several projects under different organizations constructed about 24 thousand biogas plants in different parts of the country. Infrastructure Development Company Limited (IDCOL), a state-owned non banking financial institution, is implementing National Domestic Biogas and Manure Programme (NDBMP) with the participation of different partner organizations (POs) and with support from the Netherlands Development Organization (SNV) and Kreditanstalt für Wiederaufbau (KfW) since July 2006. Under this programme a total of 37,629 biogas plants will be constructed during 2006-2012.
Two major outputs from a biogas plant are the gas and the bio-slurry. Bio-slurry is the decompose product produced from organic materials in a reduction process in presence of anaerobic microbes in the biogas digester. It is an excellent soil conditioner as it adds humus and supports the micro-biological activity in the soil increasing the soil porosity and water holding capacity. It has greater fertilizer value for crops and feed material for earthworms, livestock and fishponds. The loss of nitrogen is minimum in case of bio-slurry as compared to Farm Yard Manure (FYM) and compost due to anaerobic condition in the digester.
Declining in soil fertility is a common scenario in Bangladesh though magnitudes vary in different Agro-Ecological Zones (AEZ). Decline in soil fertility occurs through a combination of lowering of soil organic matter and loss of nutrients. In Bangladesh, depletion of soil fertility is mainly due to exploitation of land without proper replenishment of plant nutrients in soils.
A medium fertile soil should have an organic matter content of 1.8-3.4%. But in Bangladesh, most soils have less than 1.7%, and some soils have even less than 1% organic matter. The average organic matter content of top soils has decline by 20-46% over past 20 years due to intensive cultivation. To arrest further declination of soil fertility proper use of bio-slurry alone or in combinations with chemical fertilizers may be good options. Bio-slurry considered as quality organic fertilizer is environmental friendly, has no toxic or harmful effects and can help to a great extent rejuvenate the soils by supplying organic matter, considerable amounts of macro and micro nutrients. This organic fertilizer has also liming effects. The poultry litter fermented organic fertilizer is more effective in acid soils to reduce acidity and thereby protects crops from harmful effects of aluminum.
The farmer needs to use chemical fertilizer to increase the crop production. However, if only chemical fertilizers are continuously applied to the soil without adding organic manure, productivity of land will decline. On the other hand, if only organic manure is added to the soil, desired increase in crop yield cannot be achieved. Neither bio-slurry nor chemical fertilizer alone is enough to meet demand of soil-crop systems. Fertility trials carried out in Bangladesh and elsewhere have revealed that optimum results can be achieved through the combined application of both chemical and organic fertilizers. NDBMP supported on-station and on-farm trials conducted by Bangladesh Agricultural Research Institute (BARI) in major AEZs with major crops found that yield can be increased by 12-25%. In countries where biogas technology is well developed, for instance in China, there are evidences that productivity of agricultural land can be increased to a remarkable extent with the use of bio-slurry in combination with chemical fertilizer.
Organic fertilizer
Bio-slurry is a 100% organic fertilizer most suitable for organic farming. This fertilizer can effectively be used for all high value fields and horticultural crops including vegetables, fruit, flowering as well as ornamental plants and roof top garden. This organic fertilizer can also profitably be used for forest nurseries, public parks and roadside plantations. Organically produced crops and fruits are healthy and nutritious, and have better shelf life as well as higher market value. Demand for organically produce crops are increasing day by day in Bangladesh and elsewhere in the world.
An important point to be noted is that the anaerobic fermentation in the biogas digester does not result in any absolute increase in total nutrient content of bio-slurry compared to that of the dung fed to the plant. But the organic fraction of nitrogen is converted into a form that is more readily usable by plants. The fertilizer value attributed to the bio-slurry is due to its enrichment in humic substances (8.6 to 21.6% humic acid) and macronutrients which are supplied to soil.
Fresh bio-slurry should be allowed to settle for few days in the slurry pit and mixed with water at the ratio of 1:1-2 before applying to the fruit or vegetable crops grown close to the house with the help of bucket or pale. The ammonia content of the fresh slurry can harm the tender fruits and vegetables if applied immediately.
By employing simple collection and preservation techniques, the quantity and quality of bio-slurry in terms of weight and plant nutrient content can be considerably improved and preserved for later use in field or garden crops. It is advisable to construct at least two slurry pits so that each of them can be emptied alternatively. The pit volume should be equal to the volume of the biogas digester. To protect the bio-slurry in pits from sun and rain, shade should be provided by constructing a roof made of local materials such as bamboo and rice/wheat straw over the pits or from corrugated iron sheet or any other more permanent materials. Make the structure sufficiently strong to withstand winds. Creeper vegetables can be grown on the roof of shade.
To derive maximum benefit from organic manure application, the compost should be well decomposed and be of good quality. Use of un-decomposed organic manure should be avoided, as it will do more harm than good. Un-decomposed materials when applied to the soil attract insects and take a longer time (i.e. more time than the life cycle of the crop) before the plant nutrients present in them are converted in the form that can be assimilated by the plants. It is essential to know whether the compost has attained the stage of maturity before applying it in the field. In practice, mature compost can be identified from its physical appearance. Matured compost has a dark brown colour whereas undigested slurry is light brown or greenish. When pressed between two fingers, matured compost is friable in consistency and can be easily distributed in the field.
3 million plants
It has been estimated that there is potential of establishing about 3 million biogas plants in Bangladesh. If the 65 percent of the potential is tapped (2 million), there is a possibility of producing 12 million metric tons of bio-slurry (dry weight basis) per year from the average family-sized (2.4 m3) biogas plants. If calculated in terms of nutrients, 165,000 ton of N; 92,400 ton P, 40,800 ton of K and 39,600 MT of S would be available per year as fertilizer. If a farmer applies 6 tons of dry bio-slurry in crop field, s/he can reduce 60 kg urea, 48 kg TSP and 60 kg MoP fertilizer for selected crop. In Bangladesh, if properly managed, bio-slurry could play a major role in supplementing the use of expensive chemical fertilizers.
The writer is Bio-Manure Management Adviser, SNV Bangladesh.
Source: www.weeklyholiday.net, 11th June 2010
জৈব পদার্থ হলো মাটির প্রাণ। মাটির প্রাণ বলে পরিচিত এই জৈব পদার্থ আমাদের দেশের জমিতে আছে মাত্র ১ ভাগ বা তারও কম। অথচ এটা থাকার কথা শতকরা ৩ থেকে ৫ ভাগ। প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থের অভাবে মাটির উর্বরা শক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে।
অন্যদিকে রাসায়নিক সারের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কারণে মাটির গুণাগুণ মারাত্মকভাবে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে। মাটি ফসল চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। আমাদের দেশে পোলট্রি বর্জ্য জৈব সারে পরিণত না করে যেখানে-সেখানে ফেলানোর ফলে মাটি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। সেই সাথে জৈব নিরাপত্তাও বিঘিíত হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে পোলট্রি একটি বিকাশমান শিল্প। খামার এবং অন্যান্য মিলিয়ে সারদেশে মোরগ-মুরগীর সংখ্যা প্রায় ২০ থেকে ২২ কোটি। এ সব মোরগ-মুরগী থেকে প্রতিদিন যে পরিমাণ পোলট্রি বর্জ্যরে পাওয়া যায় তার পরিমাণ প্রায় ১.৫ থেকে ২ কোটি টন। বিশাল এই পোলট্রি বর্জ্য সঠিক ব্যবস্খাপনার অভাবে মাটি ও পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। প্রায় ১১ মিলিয়ন হেক্টর চাষযোগ্য জমিতে বিপুল পরিমাণ জৈব পদার্থের চাহিদা থাকার পরও আমরা জৈব সার উৎপাদন ও জমিতে ব্যবহারে উদাসীনতার পরিচয় দিচ্ছি।
এ সমস্যার উল্লেখযোগ্য সমাধান আসতে পারে যদি সঠিকভাবে পোলট্রি বর্জ্যরে ব্যবস্খাপনা করে তা থেকে জৈব সার তৈরি করা হয়। অবশ্য তৈরি করা হলেই সমস্যা শেষ নয়। তৈরি করা সার ব্যবহার এবং বাজারজাতকরণে সরকারি অনুমোদনও থাকতে হবে। এটা করা গেলে লক্ষ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রয়োজনীয় জৈব পদার্থ জোগান যেমন দেয়া যাবে, তেমনি রাসায়নিক সারের ওপর মাত্রাতিরিক্ত নির্ভরতাও কমানো যাবে। সেই সাথে বিপুল অংকের টাকা ব্যয় করে বিদেশ থেকে রাসায়নিক সার আমদানিও কমানো যাবে।