কেঁচো থেকে উৎপাদিত কম্পোস্ট সার বিক্রি করে বছরে আয় হবে প্রায় ২ কোটি টাকা।
Source: www.al-ihsan.net
মেহেরপুর প্রতিনিধি | তারিখ: ২৯-০৮-২০১০
উর্বর মাটিতে পাচঁ ভাগ জৈব পদার্থ থাকতে হয়। মাটির পানি ধারণক্ষমতা ও বায়ু চলাচল বাড়াতে পাঁচ ভাগ জৈব পদার্থ থাকার কথা থাকলেও বাংলাদেশের মাটিতে রয়েছে এক দশমিক আট থেকে দুই ভাগ। জৈব পদার্থের পরিমান বাড়াতে কম্পোষ্ট সার, পচা আবর্জনা, সবুজ সারের যেমন ভূমিকা, কেঁচো সারের ভূমিকাও তেমনি অসামান্য।
কেঁচো সারঃ কেঁচো খাবার খেয়ে মল হিসাবে যা ত্যাগ করে তাই কেঁচোসার। তরিতরকারির ফেলে দেওয়া অংশ,ফলমূলের খোসা,উদ্ভিদের লতাপাতা,পশুপাখির নাড়িভুঁড়ি হাঁস-মুরগির বিষ্ঠা, ছোট ছোট করে কাটা খড়কুটো খেয়ে কেঁচো জমির জন্য সার তৈরি করে। এ সার সব ধরণের ফসল ক্ষেতে ব্যবহার করা যায়।
কী আছে কেঁচোসারেঃ ‘ভার্মি কম্পোষ্ট’ বা কেঁচোসারে মাটির পানি ধারণ করার ক্ষমতা ও মাটি নরম করার ক্ষমতা তো আছেই,এ ছাড়া আছে আটাশি দশমিক ৩২ ভাগ জৈব পদার্থ, এক দশমিক ৫৭ ভাগ নাইট্রোজেন, এক দশমিক ২৬ ভাগ বোরন-যেগুলো অন্যান্য জৈব সারে এত বেশি পরিমাণে নেই।
কেঁচোসার ব্যবহার করলে চাষের খরচ কম হয়। প্রাকৃতিক লাঙ্গল যে কেঁচো তারও সংখ্যা বাড়ে মাটিতে। উৎপাদিত ফসলের বর্ণ, স্বাদ, গন্ধ হয় আকর্ষণীয়। ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ে।
সহজ উপপায়ে কেঁচো সার উৎপাদনঃ কেঁচোসার উৎপাদন করতে গভীর মাটিতে যে ছাই রঙের কেঁচো পাওয়া যায় সেগুলো না নিয়ে বরং মাটির ওপর স্তরে থাকা লাল রঙের কেঁচো খুবই ভালো। এছাড়া সার উৎপাদনের আলাদা কেচোঁও পাওয়া যায়।
কেঁচো সার উৎপাদনের জন্য ছায়াযুক্ত স্থানে প্রথমে কোমর সমান গর্ত করে তাতে দুটো রিং স্লাব বসায়ে দিতে হয়। গর্তের তলায় শুকানো ঝরা মাটি দিয়ে কিছু অংশ ভরে দিতে হয় এরপর। তার ওপর বিছাতে হয় কুচি কুচি করে কাটা খড়কুটো, তার উপর আবার ঝুরা মাটি। ঝুরা মাটির উপর পচাঁ আবর্জনার স্তর। আর্বজনার উপর ঝুরা মাটির স্তর দিতে হবে আরো একবার। এবার মুরগির বিষ্ঠার একটি স্তর করে নিতে হয়। বিষ্ঠার উপর আবার ঝুরা মাটি দিতে হয়। শেষের স্তর এ গোবর। এই গোবরে দিতে হয় কেঁচো ছেড়ে। ঝড়-বাতাস আর বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচাতে ওপরে দিতে হবে ছাউনি। এভাবে তিন মাস রেখে দিলেই পাওয়া যাবে কেচোঁ সার।
অন্যভাবেও কেঁচো সার উৎপাদন করা যায়। এক্ষেত্রে ছায়াযুক্ত স্থানে পলিথিন ব্যাগে আবর্জনা রেখে দিতে হয়, যাতে আবর্জনা পচঁতে পারে। সাত-আট দিন পর পলিথিন বিছিযে দুটি রিং স্লাব পরপর সাজিয়ে তার ভেতর পচাঁ এই আবর্জনা দ্বিগুণ পরিমাণ গোবরের সঙ্গে মিশিয়ে রেখে দিতে হয়। যাতে পঁচা আবর্জনার রস মাটিতে চুয়ে যেতে না পারে। এরপর গোবর মেশানো আবর্জনায়কেঁচো ছেড়ে দিতে হয়। ঝড়-বাতাস, বৃষ্টি থেকে রক্ষা করতে রিং স্লাবের ওপর দিতে হবে ছাউনি।
কেঁচোসার তৈরি করতে দুটি রিং স্লাব ১০০ থেকে ২০০টি কেঁচোই যথেষ্ট। আর সময় লাগবে তিন মাস।। এরই মধ্যে পাওয়া যাবে ফসলের জন্য চমৎকার সার। সচেতন থাকতে হবে রিং স্লাবে যেন কীটনাশক কিংবা ছত্রাকনাশকের মতো কোনো বিষ না পড়ে।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান শাহীন
মাটির লাল কেঁচো খড়কুটো, ফসলের অবশিষ্টাংশ, রান্নাঘরের উচ্ছিষ্ট এবং মাটির সমন্বয়ে যে জৈব সার তৈরি হয় তাকে বলা হয় কেঁচো কম্পোস্ট সার এবং এ কৌশলকে বলা হয় কম্পোস্ট সার তৈরির কৌশল। এটি সহজ একটি পদ্ধতি যেখানে আবর্জনা দিয়ে ব্যবহার উপযোগী উৎকৃষ্ট জৈব সার তৈরি করা যায়।
সার তৈরির কৌশল : কেঁচো কম্পোস্ট সার জমির এক কোণায়, গাছের নিচে এমনকি ঘরের ভেতর বড় বাক্সে তৈরি করা যায়। খোলা জায়গায় তৈরি করতে হবে। মাটি ও জৈব আবর্জনার স্তূপের সাথে কেঁচো মেশাতে হবে। এরপর স্তূপ ঢেকে রাখতে হবে। কেঁচো দ্রুত বৃদ্ধি লাভ করে এবং কয়েক মাসেই তা কেঁচো কম্পোস্ট সারে রূপ নেয়। ঘরের ভেতর বাক্সে তৈরি করতে হলে বাক্সের ভেতর পুরানো খবরের কাগজ বিছিয়ে তা পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিতে হবে। তারপর জৈব মাটি বিছিয়ে দিয়ে কেঁচো ছেড়ে দিতে হবে। মাটি এবং তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে কেঁচো মারা যেতে পারে এ জন্য বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
কেঁচো কম্পোস্ট সারের উপকারিতা : উৎপাদন ও ফসলের গুণাগুণ বৃদ্ধি পায়। তুলনামূলকভাবে উৎকৃষ্ট ও বড় আকারের ফল বা সবজি পাওয়া যায়। মাটির পানি ধারণ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে কেঁচো সার ব্যবহারে সেচের পানি কম লাগে। ক্ষারীয় লবণাক্ত মাটিতেও চাষাবাদ সম্ভব। রোগ ও পোকামাকড়ের উপদ্রব কম হয়। জমিতে আগাছার ঝামেলা কম হয়। ফসলের বীজের অংকুরোদগম ক্ষমতা বাড়ে। অধিক কুশি, অধিক ছড়া ও দানা গঠন হয়। মাটির বুনট উন্নত হয়। রাসায়নিক সারের চাইতে খরচ অনেক কম হয়। পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে।
ফসলে কেঁচো সারের ব্যবহার : বৃষ্টিনির্ভর ফসল তিল, মুগ ছোলা, মাসকলাই, জোয়ার, বাজরা, সরিষা এসব কম পুষ্টি চাহিদা সম্পন্ন ফসলে রাসায়নিক সার ছাড়াই একর প্রতি মাত্র ২০০ থেকে ৩০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। সূর্যমুখী, বার্লি, ভুট্টা ও গম এসব ফসলে কৃষকরা সাধারণত হালকা সেচ, রাসায়নিক সার ব্যবহার করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একরপ্রতি মাত্র ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফলন পাওয়া যায়। পেঁয়াজ, রসুন, আদা, গাজার, আলু, মিস্টি আলু, ঢেঁড়শ, বেগুন, শসা ইত্যাদি ফসলে রাসায়নিক সার ব্যবহার না করে একরপ্রতি মাত্র ১০০০ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে কৃষকরা অধিক ফলন পাচ্ছেন। ফুলকপি, বাধাকপি, আলু, মরিচ, ধান, টমেটো, রসুন, আদা, হলুদ এসবের ক্ষেত্রে অনুমোদিত রাসায়নিক সারের অর্ধেক মাত্রার সাথে একরপ্রতি মাত্র ১টন কেঁচো কম্পোস্ট সার প্রয়োগের সুপারিশ রয়েছে। বিশেষত ফল বাগানে গাছপ্রতি ১ থেকে ১৫ কেজি কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে অধিক ফল পাওয়া যায়।
আমাদের দেশের কৃষক ভাইরা কেঁচো কম্পোস্ট সার ব্যবহার করে কম খরচে অধিক ফলন ঘরে তুলতে পারেন। এতে জমি রাসায়নিক সারের হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং উর্বরতা বজায় থাকবে।
লেখক: এম এ কিসমত খান, পাউবো, পাবনা
|
|
# বাজার সম্ভাবনা # মূলধন # প্রশিক্ষণ # প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান # কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির নিয়ম # আনুমানিক আয় ও লাভের পরিমাণ
রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে জমির উর্বরতা ধীরে ধীরে কমতে থাকে এবং রাসায়নিক সার ব্যবহারের খরচও বেশী। কেঁচো কম্পোস্টের উপকারিতা অন্যান্য কম্পোস্টের চেয়ে বেশি। কেঁচো কম্পোস্ট সার তৈরি খরচ কম এবং রাসায়নিক সারের অপকারিতা মাথায় রেখেই দিন দিন জৈব সারের ব্যবহার বাড়ছে। আর তাই কেঁচো কম্পোস্টের চাহিদা ও বাজার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেঁচো কম্পোস্ট বিক্রি করতে উপজেলা পর্যায়ে ব্যবসায়ী, কৃষক, আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। তৈরি করা কম্পোস্ট সার বিক্রির জন্য প্রচার অভিযান চালাতে হবে। সেক্ষেত্রে-
আনুমানিক ৬০০-৭০০ টাকার যন্ত্রপাতি এবং ২৪০০-২৫০০ টাকার কাঁচামাল কিনে বেশ বড় আকারেরর কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি ও বিক্রি ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। বড় আকারে কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবসা শুরু করতে যদি নিজের কাছে প্রয়োজনীয় পুঁজি না থাকে তাহলে স্থানীয় ঋণদানকারী ব্যাংক (সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক , রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক)বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান (আশা, গ্রামীণ ব্যাংক, ব্রাক, প্রশিকা)থেকে শর্ত সাপেক্ষে স্বল্প সুদে ঋণ নেয়া যেতে পারে।
কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি প্রক্রিয়া খুবই সহজ। এর জন্য আলাদা ভাবে কোন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন নেই। অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে ধারণা নিয়েই এ কাজ শুরু করা যেতে পারে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ, পরিমাণ, মূল্য ও প্রাপ্তিস্থান
উপকরণ | পরিমাণ | আনুমানিক মূল্য (টাকা) | প্রাপ্তিস্থান |
ঘর তৈরি/শেড তৈরি | ১ টি | ৩০০-৩১০ | নিজেই তৈরি করা যায় |
পানি নিরোধক কাগজ | ৪০ ফিট | ২০০-২১০ | হার্ডওয়ার দোকান |
মাটির বড় পাত্র | ৫টি | ১৫০-১৬০ | কুমার বাড়ী |
মোট=৬৫০-৬৮০ টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
উপকরণ | পরিমাণ | আনুমানিক মূল্য (টাকা) | প্রাপ্তিস্থান |
কেঁচো | ২০০০ টি | ২০০০-২০৫০ | কেঁচো বিক্রির পাইকারী দোকান |
গোবর | ১২০০ কেজি | ৩০০-৩২০ | বাড়ী থেকে কেনা যেতে পারে |
রান্না ঘরের উচ্ছিষ্ট | ৫০ কেজি | - | বাড়ী থেকে সংগ্রহ করা যায় |
পাতলা চট | ৪০ ফুট | ১৩০-১৩৫ টাকা | হার্ডওয়ারের দোকান |
মোট=২৪৩০-২৫০৫টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
ছবি: কেঁচো কম্পোস্ট উল্টে দেয়া হচ্ছে ছবি তোলার স্থান:নেত্রকোনা। | ছবি: কেঁচো কম্পোস্ট পরীক্ষা করা, ছবি তোলার স্থান:নেত্রকোনা। |
গাছের ছায়ায় মাটিতে গর্ত করে সার তৈরি করতে হয়। সেজন্য ২ মিটার লম্বা, ১ মিটার চওড়া ও ১ মিটার গভীর গর্ত করতে হবে। গর্তের আকার এমন হবে যেন দুই থেকে পাঁচ হাজার কেঁচো থাকতে পারে। এ পদ্ধতিতে মাসে ১০০ কেজি করে সার তৈরি করা সম্ভব হবে। গর্তের উপর ছনের চালা দিতে হবে। তবে মাটির গর্তের চেয়ে মাটির বড় পাত্রে (গামলা) কম্পোস্ট তৈরি করলে কেঁচোগুলো হারিয়ে বা নষ্ট হয় না। তাই বর্তমানে গামলার ব্যবহারই বেশি।
তৈরি ঘরের মধ্যে বা গর্তের তলায় ইটের টুকরো বা বালি বিছিয়ে নিতে হবে।
চালুনীর সময় সাবধান থাকতে হবে যেন শিশু কেঁচো মারা না যায়। শিশু কেঁচোগুলো পুরানো গোবরে রাখতে হবে। পিপঁড়া ও পোকার কামড় থেকে কেঁচোগুলোকে সাবধানে রাখতে হবে।
কাঁচামাল বাবদ খরচ আনুমানিক | ২৪৩০-২৫০৫ টাকা |
যন্ত্রপাতির অবচয় (ক্ষতি) বাবদ খরচ | ৫-৬ টাকা |
মোট= ২৪৩৫-২৫১১ টাকা |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
এ পরিমাণ কাঁচামাল দিয়ে মাসে ২০০০ কোঁচোর মাধ্যমে ১০০ কেজি সার উৎপাদন করা সম্ভব।
১ কেজি সার বিক্রি হয়=৭-৮ টাকা ১০০ কেজি সার বিক্রি হয়=৭০০-৮০০ টাকা নতুন জমানো কেঁচো বিক্রি=২০০০-২২০০ টাকা |
মাসে মোট আয় =(সার+কেঁচো)=২৭০০-৩০০০ |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
সার ও কেঁচো বিক্রিতে আয় | ২৭০০-৩০০০ টাকা |
সার তৈরিতে খরচ | ২৪৩৫-২৫১১ টাকা |
লাভ=২৬৫-৪৮৯ টাকা অর্থাৎ ২৬৫-৪৮৯ টাকা লাভ করা সম্ভব। তবে সময় ও স্থানভেদে এর কম বা বেশি লাভ হতে পারে। |
তথ্যসূত্র : মাঠকর্ম, জামালপুর, নভেম্বর ২০০৯।
যে কোন ব্যক্তি বাড়ীতে বসে নিজেই কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন ও বিক্রি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
প্রশ্ন ১ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরিতে কি কি কাঁচামাল লাগে ?
উত্তর : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করতে কেঁচো ছাড়াও গোবর, লতা-পাতা, ধানের খড়, শাক-সবজির অবশিষ্টাংশ ইত্যাদি প্রয়োজন হয়।
প্রশ্ন ২ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করতে কি পরিমাণ মূলধন দরকার হতে পারে?
উত্তর : আনুমানিক ৩০০০ টাকার মূলধন নিয়ে কেঁচো কম্পোস্ট ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে।
প্রশ্ন ৩ : কেঁচো কম্পোস্ট তৈরিতে কি পরিমাণ লাভ হতে পারে।
উত্তর : প্রতি মাসে আনুমানিক ৩০০-৪০০ টাকা লাভ করা যেতে পারে।
Source: www.infokosh.bangladesh.gov.bd